বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত পাঁচ লাখেরও বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবসরের ছয় মাসের মধ্যে অবসরকালীন সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ ১৩ পৃষ্ঠার রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন, যা রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে হাইকোর্ট ৫ লাখেরও বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতনের ১০ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে তাদের আর্থিক ও অবসরকালীন সুবিধা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে প্রদানের নির্দেশ দেন। রায়টি ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দেন।
রিটকারী শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া, অপর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মামুন চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
রায়ের পর আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া জানান, সারা দেশে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী ২০১৯ সালে একটি রিট দায়ের করেছিলেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ছয় শতাংশ কর্তন করা হতো এবং সেই টাকার মাধ্যমে অবসরকালীন সুবিধা দেওয়া হতো। ২০১৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন করে ১০ শতাংশ কর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়, তবে পূর্বের ছয় শতাংশ সুবিধা বজায় রাখা হয়। রিটের মাধ্যমে তারা দাবি করেন, নতুন কর্তনের ১০ শতাংশও সুবিধার আওতায় আসা উচিত। দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই রায় দেন।
রায়ে বলা হয়েছে, ১০ শতাংশ কর্তনের পরও শিক্ষক-কর্মচারীদের অতিরিক্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে এবং অবসরের ছয় মাসের মধ্যে তাদের অবসরকালীন সুবিধা প্রদান করতে হবে। হাইকোর্ট মন্তব্য করেন, এটি একটি চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকরা অবসরকালীন সুবিধা পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ঘুরতে বাধ্য হচ্ছেন, যা অবশ্যই বন্ধ করা প্রয়োজন। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনও বিবেচনায় রাখতে হবে, এবং এই সুবিধা সময়মতো দিতে হবে।