ডায়াবেটিস: যা জানা জরুরি
ডায়াবেটিস একটি বিপাকজনিত রোগ। বর্তমান সময়ে এটি মানুষের অন্যতম গুরুতর স্বাস্থ্যসমস্যা। শরীরে ইনসুলিন কম তৈরি হলে বা ইনসুলিন সঠিকভাবে কাজ না করলে কোষে গ্লুকোজ প্রবেশ করতে পারে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়—এ অবস্থাকেই ডায়াবেটিস বলা হয়।
কারা বেশি ঝুঁকিতে
-
পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে যাঁদের
-
যাঁদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি
-
নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না যাঁরা
-
দীর্ঘদিন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবন করছেন যাঁরা
-
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে যেসব নারীর
-
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত নারীরা
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
-
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
-
অতিরিক্ত পিপাসা বা গলা শুকিয়ে যাওয়া
-
প্রচণ্ড ক্ষুধা, ওজন কমে যাওয়া
-
সবসময় ক্লান্তি বোধ করা
-
চোখে ঝাপসা দেখা
-
ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া
-
খোসপাঁচড়া, ফোড়া ইত্যাদি চর্মরোগ বৃদ্ধি পাওয়া
নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়
-
রোগী ও পরিবারের সদস্যদের ডায়াবেটিস বিষয়ে সঠিক শিক্ষা
-
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, নিয়মিত ব্যায়াম ও শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন
-
প্রয়োজনে মুখে খাওয়ার ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ
-
বাসায় গ্লুকোমিটার দিয়ে নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজ পরিমাপ
-
তিন থেকে ছয় মাস অন্তর এইচবিএওয়ানসি ও অন্যান্য পরীক্ষা করে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা
নিয়ন্ত্রণ না করলে জটিলতা
-
হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, পক্ষাঘাত
-
স্নায়ুর সমস্যা, কিডনি বিকল
-
চোখের সমস্যা: রক্তক্ষরণ, দৃষ্টি ঝাপসা বা অন্ধত্ব
-
পায়ে পচনশীল ক্ষত, পাতলা পায়খানা
-
দাঁত ও মাড়ির রোগ
-
যৌন সক্ষমতা হ্রাস (পুরুষদের ক্ষেত্রে)
-
নারীদের ক্ষেত্রে মৃত শিশু প্রসব, বড় ওজনের শিশু জন্ম বা জন্মগত ত্রুটি
জরুরি সতর্কতা
রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়া (হাইপোগ্লাইসেমিয়া) ডায়াবেটিসের একটি বিপজ্জনক অবস্থা। এর লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয় সম্পর্কে রোগী ও পরিবারের সচেতন থাকা জরুরি।