মেয়াদ শেষ হলে যেসব খাবার অবশ্যই ফেলে দিতে হবে
অনেকে খাবারের মেয়াদ বোঝার জন্য নাকের কাছে নিয়ে ঘ্রাণ নেন। কিন্তু এই পদ্ধতি সব ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। ঘ্রাণ ঠিক থাকলেও মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া খাবার কখনো ব্যবহার করা নিরাপদ নয়।
খাবারের প্যাকেট, বোতল বা বয়ামে মেয়াদ সংক্রান্ত তথ্য থাকে। সাধারণত লেখা থাকে—
-
‘বেস্ট বিফোর’ (Best Before)
-
‘এক্সপায়ারি ডেট’ (Expiry Date / Do Not Use After)
তারিখ অনুযায়ী খাবারের মান বোঝার নিয়ম
-
Best Before: এই তারিখের মধ্যে খাবার সর্বোত্তম মান বজায় রাখে। তারিখ পেরিয়ে গেলে খাবার অনিরাপদ নয়, তবে স্বাদ, ঘ্রাণ বা মানের কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। সাধারণত ফ্রোজেন বা শুকনো খাবারে এই নির্দেশ থাকে।
-
Do Not Use After / Expiry Date: এই তারিখ পেরিয়ে গেলে খাবার অবশ্যই ব্যবহার করবেন না। স্বাদ ভালো থাকলেও খাবার নিরাপদ নয়, এবং অসুস্থতার ঝুঁকি থাকে।
মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে কোন খাবার কখনোই ব্যবহার করবেন না
১. প্যাকেটজাত তরল দুধ
-
ফ্রিজে রাখা হলেও সর্বোচ্চ ৭ দিন ভালো থাকে। দুধের প্যাকেট ফ্রিজের মাঝারি শেলফে রাখা ভালো। মেয়াদ পেরিয়ে গেলে দুধ বা দুধের প্রস্তুতি ব্যবহার করবেন না।
২. বেকিং পণ্য
-
কেক মিক্স, বেকিং পাউডার, ইস্ট, জ্যাম, জেলি ইত্যাদি মেয়াদ পেরিয়ে গেলে ব্যবহার করা যাবে না। স্বাদ ও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল মেলে না।
৩. নরম পনির
-
সাধারণত ১–২ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। মেয়াদ পেরিয়ে গেলে বা ন্যূনতম নষ্ট হওয়ার লক্ষণ দেখালেই ফেলে দিন। নরম পনির সহজে জীবাণুবর্ধন করে।
৪. কন্ডিমেন্ট ও সস
-
কেচাপ, সস, কাসুন্দি, কিমচি, মেয়োনেজ ইত্যাদি পণ্য বোতল বা বয়ামে সংরক্ষিত থাকলেও মেয়াদ পেরিয়ে গেলে ব্যবহার করবেন না।
-
ফ্রিজে রাখা মানে সব সময় জীবাণুমুক্ত নয়। ব্যবহার করার সময় পরিষ্কার চামচ ব্যবহার করুন, সরাসরি বোতলে ফিরিয়ে দেবেন না।
৫. ফলের রস
-
প্যাকেট বা বোতলে রাখা ফলের রসও মেয়াদ পেরিয়ে গেলে নিরাপদ থাকে না। ব্যবহার করার আগে উল্লিখিত তারিখ খেয়াল করুন।
উপসংহার:
খাবারের ঘ্রাণ বা স্বাদ ঠিক থাকলেও মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে কোনোভাবেই ব্যবহার করবেন না। পণ্যতে লেখা তারিখ অনুযায়ী খাদ্য ব্যবহার করুন, নিরাপদ থাকুন এবং অসুস্থতার ঝুঁকি কমান।